Posts

ভাই বোনের ভালবাসার গল্প

Image
লেখক: মাহমুদ হাসান রানা আপু ১০টা টাকা দে তো। - কেন? - স্কুল যামু। - টাকা নাই এখন যা। - এমন করস কেন আপু দে না প্লিজ। - বলছি না, নাই এখন ঘ্যানর ঘ্যানর করিস না তো। - আপু দিবি কিনা? ( ঠাস) - এই নে দিলাম, হইছে এখন? - উহুঁ উহুঁ। .. কাদতেঁ কাদতেঁ বেরিয়ে গেল ঘর থেকে শুভ। এই হলো নুসরাত আর ওর ভাই। নুসরাত পরে ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে আর শুভ পরে ক্লাস ফাইভে। শুভ সবসময় ওর আপুর সাথে মেলামেশার চেষ্টা করে কিন্তু ওর আপু ওর সাথে এমন ব্যবহার করে। দুজনে সাপ বেজির মতো,, শুভ ওর আপুর কাছে থাকতে চাইলেও ওর আপু ওকে ঝামেলা মনে করে দূরে রাখে। . স্কুলে যাওয়ার সময়, শুভ ভাবলো আপু তো আমার স্কুলের সামনে দিয়েই কলেজে যায়। আমার স্কুলের সামনে দিয়েই কলেজে যাওয়ার রাস্তা, তাই আমি আপুর সাথে যাব। শুভ ওর আপুর ঘরে গিয়ে দেখে ওর আপু রেডি হয়ে গেছে কলেজে যাবার জন্য। . - আপু আপু আমাকে সঙ্গে নিয়ে যা। - একা যেতে পারিস না। - এতো গাড়ির মধ্যে একা যেতে ভয় লাগে তোর সাথে যাব। - আচ্ছা নিয়ে যাব, রাস্তায় বেরিয়ে এটা ওটা বাহানা ধরবি তো,সকালের মতো আরেক টা দিব। - আচ্ছা চুপ করে থাকবো। . তারপর শুভ আর নুসরাত বেরিয়ে পড়ে। দুজনে চুপচাপ রাস্তা দিয়ে হাটছে। তবুও ...

গল্প :- ফেসবুকে প্রেমে পড়া মেয়ে 😍

Image
সবাই পড়বেন প্লিজ 🥰🥰 সাদিয়া  : কেমন আছো? 🥰 মেহেদী  : ভালো না 😓 সাদিয়া  : কেন? ☹ মেহেদী  : বাড়িতে বউ নায় তাই। (শয়তানি করে বললাম) 😁 সাদিয়া   : দেখ ফাইজলামো করবে না একদম 😐 মেহেদী  : আচ্ছা করব না। একটা কথা বলব রাগ করবে না তো 😊 সাদিয়া : বল রাগ করব না 🙂 মেহেদী  : তোমার একটা ছবি❣ দিবা, দেখবো তোমায়❣ সাদিয়া : না এইটা সম্ভব না😔  মেহেদী  : প্লিজ দাও না, শুধু একবার দেখবো তোমাকে প্লিজ 😒 সাদিয়া : না আমি পারব না আমি কত বার বলছি যে তোমাকে আমি ছবি দিতে পারব না। আমি দেখতে সুন্দর নই, তোমার আমাকে কখনোই পছন্দ হবে না। আর কখনো যদি আমাকে😓 মেসেজ দাও তাহলে আমি আর কখনোই তোমার সাথে কথা বলবো না। সাথে সাথেই   সাদিয়া  অফলাইন হয়ে যায়। ❣❣ দুজনেরই ফেইসবুকে পরিচয়❣ কিন্তু কেউ কখনো কারো মুখ দেখেনি। তবুও দুজন দুজনকে ভালোবাসে। মেহেদী  হল একজন বড় লোকের ছেলে খুব সুন্দর আর অনেক ভালো। কোনো খারাপ অভ্যাস ছিল না, তবে একটু ফাইজলামো করতো তাও শুধু সাদিয়ার  সাথে। আর সাদিয়া  ও অনেক ভালো মেয়ে তবে সে ছিল গরিব ঘরের মেয়ে❣ সাদিয়া  অনেক গোছালো টাইপের মেয়ে সে তেমন বেশি সুন্দর নয়, আবার কালোও নয় শ্যমলা রঙের একটা মেয়ে, তবে চেহেরাটা অন...

গল্পঃ ম্যাডাম যখন Raj এর বউ

Image
পর্বঃ ১২ =আমিঃ আরে স্যার নয় তুমি চাইলে আমার নাম ধরে ডাকতে পারো। আর আমিও তোমাকে নাম ধরেই ডাকবো। =নুসরাতঃ আচ্ছা ঠীক আছে স্যার। উফ্ফ সরি রাজ। =আমিঃ হুমম এবার ঠীক আছে তুমি এবার তোমার কাজ করো গিয়ে। আর কোন সমস্যা হলে আমার কাছে চলে এসো। তারপর অধরা দরজা খুলে যেই বের হলো ঠীক তখনই দেখলো,,,,(১১তম পর্বের পর থেকে) দরজার বাইরে নুসরাত দাঁড়িয়ে আছে। অধরা কে বাইরে দেখে কেমন যেন চমকে উঠলো। =অামিঃ আরে ম্যাডাম আপনি এখানে। =নুসরাতঃ হুমম একটা দরকার কাজি আসা আর কি। =আমিঃ ম্যাডাম তাহলে বাইরে কেন দাঁড়িয়ে আছেন ভেতরে আসুন। আর অধরা তুমি যাও কাজ করো গিয়ে সমস্যা হলে আমার কাছে এসো। =অধরাঃ ঠীক আছে রাজ। এই কথা বলে অধরা চলে গেলো।আর অধরার মুখে আমার নাম শুনে নুসরাত কে দেখলাম রাগী ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। =আমিঃ ম্যাডাম বলুন কি কাজ। =নুসরাতঃ পরে বলবো। এই কথা বলে চলে গেলো। আমার বুঝতে বাকি রইল না যে নুসরাত কেন এমন রাগ করছে।হাহাহা, সেই দিন আর বেশি দূরে নাই নুসরাত ম্যাডাম যে তুমি আমাকে নিজে থেকে এসে ভালোবাসি বলবে। তারপর আমি আমার কাজ করতে লাগালাম। রাতে শুয়ে নুসরাত এসে চুপচাপ আমার পাশে শুয়ে পড়লো। কোন কথা বললো না। মনে হয় আমা...

আমার কল্পনায় তুমি

Image
লেখায়ঃ মাহমুদ হাসান রানা (শুভ) মেঘলা বাতাশ। বিকেলে নিশ্চুপ নিরবে হেটে চলেছি আনমনে শহরের কোনো এক গলিতে, চারদিকে মানুষের কোলাহল। ব্যস্ত শহরে মানুষের কোলাহল ছেড়ে হাটতে হাটতে চলে এসেছি শহর থেকে দূরে জন-মানবহীন স্থানে। চারদিকে কোনো মানুষ নেই, একদম নিরব একটা স্থান। বসে আছি একটা কোনো এক বটতলায়। হঠাৎ চোখের কোণে জলবিন্দু এসে জমাট হলো। আকাশটাও আমার চোখের সাথে তাল মিলিয়ে ঝরিয়ে দিলো বৃষ্টি কণা। দৌড়ে চলে আসলাম ছোট্ট একটি চায়ের দোকানে, অনেকটা ভিজে গেল আমার শরীর ঠান্ডাও লাগছে। ঠান্ডা কাটাতে চুমুক দিলাম চায়ের কাপে। বসে আছি যাত্রী ছাউনিতে বাসের অপেক্ষায়। পাশে কয়েকজন মানুষও আছে তারাও আমার মতো বাসের অপেক্ষায় বসে আছে। পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে ভার্চুয়ালে পা রাখলাম। নিউজফিড ঘুরে দেখতেছি তখনি ঝুম বৃষ্টি নামলো ‘‘কি করা আমি তো ছাতাও আনি নাই, আসার সময়ই তো দেখলাম কত সুন্দর রোদ এখন হঠাৎ বৃষ্টি, ধুর… কি করি? আজকে নির্ঘাত বৃষ্টিতে ভিজতে হবে, ধ্যাত! আকাশটাও বড্ড অভিমানী যখন তখন কেঁদে পেলে’’ বসে আছি মন খারাপ করে, ‘‘আজকে বাসেরও কি হয়েছে কে জানে আসতেও লেট করছে’’ ব্যাপারটা সত্যি অনেক বিরক্তকর লাগছিলো। কিন্তু বিরক্তকর ...