অল্প অল্প প্রেমের গল্প
এই যে মিষ্টার, একটু সরে দাড়াবেন?
-কেন? প্রবলেম হচ্ছে?
-প্রবলেম না হলে আপনাকে কেন বললাম?
-কই, আমি তো আপনার গা ঘেষে দাড়াইনি। তাহলে প্রবলেমটা কি?
-প্রবলেম হচ্ছে। আপনি সরেন।
-মামার বাড়ির আবদার নাকি?
-আজব তো!
-অবশ্যই আজব। আপনি বড়ই আজব।
-দেখুন,
-দেখলাম !
-আশ্চর্য, পাগল নাকি?
-জ্বি, তবে কামরাই না।
-বিরক্তিকর।
-আপনার মতোই...
-কেন? প্রবলেম হচ্ছে?
-প্রবলেম না হলে আপনাকে কেন বললাম?
-কই, আমি তো আপনার গা ঘেষে দাড়াইনি। তাহলে প্রবলেমটা কি?
-প্রবলেম হচ্ছে। আপনি সরেন।
-মামার বাড়ির আবদার নাকি?
-আজব তো!
-অবশ্যই আজব। আপনি বড়ই আজব।
-দেখুন,
-দেখলাম !
-আশ্চর্য, পাগল নাকি?
-জ্বি, তবে কামরাই না।
-বিরক্তিকর।
-আপনার মতোই...
এবার অগ্নিদৃষ্টিতে রাতুলের দিকে তাকালো ঝিনুক।
-রাগলে মেয়েদের অনেক মিষ্টি লাগে। তবে আপনাকে সত্যিই পেত্নীদের মতো লাগছে। খিক খিক খিক....
রাতুলের হাসিতে ঝিনুকের অগ্নিমুর্তি আরও প্রকট আকার ধারন করলো। রাগে লাল হয়ে গেছে ঝিনুকের চেহারা। রাতুল মনে মনে আচ করছে যে এখন খুব বাজে কিছু একটা হবে। কিছু বলে উঠার আগেই বাস চলে এলো। ঝিনুক রাতুলের দিকে মেজাজি চোখে তাকিয়ে থেকে ধীরে ধীরে বাসের দিকে এগিয়ে গেল। পেছন থেকে রাতুলের ডাক,
-এই যে ম্যাডাম, ভবিষ্যতে প্রাইভেট কারে চড়ে কলেজে যাবেন। তাহলে আর কেউ গা ঘেষে দাড়াবে না। বুঝলেন?
ঝিনুক বাসে না উঠে রাতুলের দিকে এগিয়ে এলো। রাতুল কিছুটা অপ্রস্তুত ছিলো।এইবার সত্যি তার কপালে দুঃখ আছে।
-সমস্যা কি?
-সমস্যা তো আপনার। আমি তো আপনাকে সমাধান দিলাম।
-তোর মতো চরম বেয়াদপকে শায়েস্তা করার পদ্ধতি অামার জানা আছে।
-সেটা আপনাকে দেখেই বোঝা যায়। কিন্তু সেটা অন্যদিন করলেই পারতেন। আপনার বাস যে আপনাকে রেখেই ফুরুত.....
ঝিনুক পেছন ফিরে দেখলো বাস নেই। এবার ঝিনুকের চেহারা একদম ফ্যাকাশে হয়ে গেল। প্রচন্ড রাগে চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগলো। চলে যাওয়া বাসের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে ঝিনুক। আজ তার জন্মদিন। একঘন্টা যাবৎ এখানে অপেক্ষা করছে ঝিনুক। অথচ প্রতিদিনের মতো আজও সে দেরি করলো ! বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে ঝিনুকের রাগের মাত্রাটাও বাড়তে লাগলো। হঠাৎ পেছন থেকে অদৃশ্য একটি ফুল ঝিনুকের চোখের সামনে এসে থামলো। ঝিনুক পেছনে তাকালো না। আজ সে অনেক রাগ করেছে। আজ সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছে রাতুলের সাথে কথা বলবেনা । কিন্তু রাতুল সামনে অাসলেই ঝিনুকের সব প্রতিজ্ঞা কেমন জানি হারিয়ে যায়। সে পারেনা নিজেকে ধরে রাখতে। রাতুল একটা যাদুকর। ভালোবাসার যাদুকর।
হঠাৎ পেছন থেকে দুহাতে ঝিনুককে জড়িয়ে ধরলো রাতুল। এই মুহুর্তটির জন্যই ঝিনুকের এতো অপেক্ষা। ঝিনুকের জীবনের সবচাইতে আনন্দের মুহুর্ত যখন রাতুল তাকে জড়িয়ে ধরে। চোখ বন্ধ করে অনুভব করছে ঝিনুক। এই মুহুর্তটি তার জন্মদিনের সেরা উপহার। ধীরে ধীরে ঝিনুকের কানের কাছে এসে বললো রাতুল....
হ্যাপি বার্থ ডে ম্যাডাম।
হঠাৎ পেছন থেকে দুহাতে ঝিনুককে জড়িয়ে ধরলো রাতুল। এই মুহুর্তটির জন্যই ঝিনুকের এতো অপেক্ষা। ঝিনুকের জীবনের সবচাইতে আনন্দের মুহুর্ত যখন রাতুল তাকে জড়িয়ে ধরে। চোখ বন্ধ করে অনুভব করছে ঝিনুক। এই মুহুর্তটি তার জন্মদিনের সেরা উপহার। ধীরে ধীরে ঝিনুকের কানের কাছে এসে বললো রাতুল....
হ্যাপি বার্থ ডে ম্যাডাম।
Comments
Post a Comment