Posts

Showing posts from January, 2020

একটি কালো গোলাপের আত্মকথা

Image
বৃষ্টি হচ্ছে, সকাল থেকেই আকাশ তার ভয়াবহতা দেখিয়ে যাচ্ছে, চারিদিক অন্ধকারে আবদ্ধ করে দিন কে রাত বানাতে আকাশ যেন অনেক পটু। বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কলি প্রকৃতির এই খেলা উপভোগ করে চলেছে। আসলে বৃষ্টি কলি অনেক পছন্দ করে, এমন বৃষ্টিতে তার ভীষণ সাধ হয় ছাদে গিয়ে ভিজতে, কিন্তু তার জননীর ভয়ে তা আর হয়ে ওঠে না। কলি তার মাকে অনেক ভঁয় পায়, তবে ভালোও কম বাসে না। কলির দুষ্ট একটা ছোট ভাই আছে, নাম আতিক। ওর সাথেই হেসে খেলে সময় কাটায় কলি। ২০০৯ সাল, কলি সবে মাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করেছে। কলির মা ওকে শিল্পকলা একাডেমীতে ভর্তি করাল নাচ শিখাবার জন্যে। নিয়মিতই কলি নাচের ক্লাস করত। একদিন এক যুবক কলিকে ডেকে ওর নাম জিজ্ঞাসা করল। সাথে সাথেই কলি ভয়ে দৌড়ে পালাল। আসলে কলি কখনো কোন ছেলেদের সাথে মিশে নি। তাই ওর এতো ভয়। পরবর্তীতে ছেলেটি সরাসরি কলির মায়ের কাছে গিয়ে কলির সাথে নিজের বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কলির মা ব্যপারটাকে স্বাভাবিক ভাবেই নেয় এবং ছেলেটির অভিভাবকদের সাথে কথা বলার জন্যে মত প্রকাশ করেন। ছেলেটির নাম এরফান। বাবা দেশের বাহিরে থাকে। ছেলেটি কলির মাকে আশ্বাস দিলেন যে তার বাবা এক মাসের মধ্যেই ঢাকায় আসব...

"না বলা ভালোবাসা

Image
পাঠ ১ আজ আমার বিয়ে। আসলে আমার দাদু-দাদীজানের বয়স অনেক হয়েছে। তাদের ইচ্ছে, তারা তাদের নাত-বউকে দেখে মারা যাবে। তাই আব্বু, উনার খুব কাছের বন্ধু শফিক আংকেলের মেয়ের সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। উনাদের বাসা পুরান ঢাকা। আর আমার যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে তার নাম, "রুকু"। তবে একটা সম্যসা আছে। তারা দুজনেই জমজ বোন। ওদের নাম রুকু-রুমু। আমি চিনতেই পারি না একদম। তো যায় হোক, আমাদের ঠাকুরগাঁও থেকে পুরান ঢাকা যেতে সময় প্রায় ১ দিন লাগে। কারণ ঢাকায় যে জ্যাম। সবাই কি ব্যস্ত......!!! কেউ রেডি হচ্ছে, কেউ বাসা সাজাতে ব্যস্ত। কমবেশি সবাই খুব ব্যস্ত। আর আমি মনে মনে একজন কে খুঁজতেছি। কারণ ওকে ছাড়া আমার একা একা রেডি হতে সমস্যা হচ্ছে। পাঞ্জাবীটার হাতার বোতাম গুলো লাগাতে পারতেছি না। তবুও আমি তাকে খুজতে বের হলাম। জানালায় গিয়ে দেখি.... ও আমার বাসর ঘরের ফুল গুলো ধরে ধরে কান্না করতেছে। সরি, এতক্ষণ ধরে যার নাম বলতেছি, তার নাম তুবা। তো আমি দরজায় গিয়ে থমকে দাঁড়ালাম। তাঁকে বুঝতে দিলাম না যে, ওর কান্না আমি দেখে ফেলেছি। পেছন থেকে ডাকলাম, ও চোখগুলো মুছে আমার দিকে ফিরে তাঁকায়। ------- ------- ------- আমি:-ভাবতেই অবা...

অল্প অল্প প্রেমের গল্প

Image
এই যে মিষ্টার, একটু সরে দাড়াবেন? -কেন? প্রবলেম হচ্ছে? -প্রবলেম না হলে আপনাকে কেন বললাম? -কই, আমি তো আপনার গা ঘেষে দাড়াইনি। তাহলে প্রবলেমটা কি? -প্রবলেম হচ্ছে। আপনি সরেন। -মামার বাড়ির আবদার নাকি? -আজব তো! -অবশ্যই আজব। আপনি বড়ই আজব। -দেখুন, -দেখলাম ! -আশ্চর্য, পাগল নাকি? -জ্বি, তবে কামরাই না। -বিরক্তিকর। -আপনার মতোই... এবার অগ্নিদৃষ্টিতে রাতুলের দিকে তাকালো ঝিনুক। -রাগলে মেয়েদের অনেক মিষ্টি লাগে। তবে আপনাকে সত্যিই পেত্নীদের মতো লাগছে। খিক খিক খিক.... রাতুলের হাসিতে ঝিনুকের অগ্নিমুর্তি আরও প্রকট আকার ধারন করলো। রাগে লাল হয়ে গেছে ঝিনুকের চেহারা। রাতুল মনে মনে আচ করছে যে এখন খুব বাজে কিছু একটা হবে। কিছু বলে উঠার আগেই বাস চলে এলো। ঝিনুক রাতুলের দিকে মেজাজি চোখে তাকিয়ে থেকে ধীরে ধীরে বাসের দিকে এগিয়ে গেল। পেছন থেকে রাতুলের ডাক, -এই যে ম্যাডাম, ভবিষ্যতে প্রাইভেট কারে চড়ে কলেজে যাবেন। তাহলে আর কেউ গা ঘেষে দাড়াবে না। বুঝলেন? ঝিনুক বাসে না উঠে রাতুলের দিকে এগিয়ে এলো। রাতুল কিছুটা অপ্রস্তুত ছিলো।এইবার সত্যি তার কপালে দুঃখ আছে। -সমস্যা কি? -সমস্যা তো আপনার। আমি তো আপনাকে সমাধান দিলাম। -তোর মতো...

অসম্ভব সুন্দর একটি মধুর প্রেমের গল্প। পড়ে দেখবেন।

Image
ছেড়ে যাবি নাতো" ক্লাস থেকে বের হয়ে একটু চিন্তায় পরলাম। পকেটে মাত্র একশ টাকা। সম্বল বলতে এটুকুই। কাল নীরার জন্মদিন। তিন বছর ধরে একসাথে আছি। মেয়েটাকে কখনোই কিছু দেয়া হয়নি। পৃথীবিতে কিছু কিছু মেয়ে আছে যারা অল্পতেই খুশী। নীরাও তাই। ও এমন একটা মেয়ে যার কাছে কিছুই লুকানো যায়না। আর তাই তিন বছরের মধ্যে ওর সামনে কখনো মন খারাপ করতে পারিনি। এমনিতেই ও অনেক  বেশি কেয়ারিং। নীরার সাথে আমার পরিচয় ফার্মগেটে। ইউ-সি-সি তে কোচিং করার সুবাদে। ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হয়ে প্রথমেই নিজেকে গুছিয়ে নিতে কিছু সময় লাগে। জীবনের বড় একটা অংশ মেয়েদের কাছ থেকে দূরে থাকার ফলে মেয়েদের প্রতি তীব্র কৌতূহল ছিল। যদিও ছেলে হিসেবে আমি বেশ লাজুক প্রকৃতির। একবার কোচিং এর সামনে বসে ফুচকা খাওয়ার পর টাকা দিতে গেলে খেয়াল করলাম পকেটে মানিব্যাগ নেই। এক প্রকার অস্বস্তির মধ্যে পড়লাম। ছোটবেলা থেকেই আত্মসম্মান বোধটা আমার প্রচন্ড। ফুচকাওয়ালাকে বললাম 'মামা, মানিব্যাগ ফেলে এসেছি। আমার কাছে টাকা নাই। এই ঘড়িটা রাখুন।' দোকানী বিজয়ীর হাসি দিল। স্টিভ জবস আইপড আবিস্কার করে যেমন হাসি দিয়েছিলেন অনেকটা সেরকম। জীবনে...

নীল শাড়ি

Image
“নীল শাড়ি তে খোলা চুলে আমার হাত ধরে হাটবে তুমি, অনেক বাতাসে যখন তোমার চুল তোমার মুখে এসে পরবে, তখন পরম মমতায় মুখ থেকে চুল গুলো সরিয়ে দিব আমি। ছুঁয়ে দিব তোমার সুন্দর নিষ্পাপ মুখ টা। লজ্জায় তোমার সুন্দর মুখ টা লাল হয়ে যাবে। মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকব আমি, আর তুমি আমাকে উপহার দিবে, তোমার অদ্ভুত সুন্দর নিষ্পাপ হাসি টা। যে হাসিতে ঝড়বে মুক্তো আর ফুটবে ফুল, কৃষ্ণচূড়া ফুল !! হারিয়ে যাব আমি সেই হাসি তে... আর তোমার পায়ে নুপুর পড়িয়ে দিব আমি। তুমি হাঁটবে আমি কান পেতে শুনবো তোমার নূপুরের ধ্বনি!! তোমার সুন্দর পা গুলোতে সুন্দর নুপুর বাজবে, আনমনে তাকিয়ে থাকবো আমি। হঠাৎ করেই তুমি জড়িয়ে ধরবে আমায়। তোমার শরীরের মিষ্টি গন্ধ আমার নাকে আসবে। আদরে আদরে শিহরিত হবে তুমি... এলোমেলো বাতাসে কোন এক রাজকন্যার শাড়ির আচল উড়ছে, তা দেখে চাঁদ মামা লজ্জায় পালাবে!! পুরো দুনিয়া অন্ধকার হওয়ার আগেই আরো একটা সুন্দর আলো আমার চোখে ভাসবে, তোমার আলোয় আলোকিত হবে পৃথিবী। ফুল ফুটবে, গান গাইবে পাখি, আকাশে সাত রঙা প্রজাপতির মেলা বসবে।!! অবাক পৃথিবী আশ্চর্য হয়ে তোমার পানে তাকিয়ে থাকবে।... গভীর আবেশে তোমার কোলেই ঘুমিয়ে পরবো আমি। হঠাৎ ঘ...

ভালোবাসার নিয়ে বাস্তবতা

Image
লেখক : মাহমুদ হাসান রানা ভিডিও  দেখতে https://youtu.be/lf1CeX8yY-Q যে ধোঁকা দেয় সে হয়তাে চালাক হতে পারে। । তবে যে ধোঁকা খায় সে কখনাে বােকা নয়, | সে বিশ্বাসী। এক বছরে দশটা বন্ধু বানানাে কঠিন কোন কাজ নয়, তবে দশ বছর ধরে একটি বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখা অনেক কঠিন। সম্পর্কটা দুইজনের হলেও, যদি কেবলমাত্র একজন সেটা টিকিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করে তবে সে সম্পর্ক আর টিকে না। কারাে অবহেলিত ভালােবাসার থেকে জীবনে একা থাকা অনেক ভালাে! আচ্ছা কষ্ট পেলেই কি ভালােবাসা হারিয়ে যায়? কখনােই না। যে ভালােবাসতে জানে সে শত কষ্টের মাঝেও | ভালােবাসতে পারে। আদর্শ স্ত্রী হলাে সেই নারী, যে নিজের চাহিদাকে স্বামীর আয়ের ওপর উপর সীমাবদ্ধ রাখে। বাবারা কখনাে কাঁদে না, কারণ বাবাদের চোখের জল গায়ের ঘাম হয়ে। বেরিয়ে যায়।। যতদিন তুমি অন্যদের কথা সহ্য করতে পারবে ততদিন তুমি ভালাে! প্রতিবাদ করলেই তুমি খারাপ। যদি তুমি গরিব হও তবে তােমার কাছের। মানুষগুলােও তােমাকে অবহেলা করবে। আর যদি তুমি ধনী হও তবে তােমার। দুঃসম্পর্কের আত্মীয়রাও তা...

উপদেশ মূলক উক্তি এবং গল্প

Image
লেখক মাহমুদ হাসান রানা ভিডিও দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন। https://youtu.be/-XHVXl087f4 যে ভালোবাসার পিছনে কোনো স্বার্থ বা উদ্দেশ্য থাকে না সেটাই সত্যি কারের ভালোবাসা। যাদের রাগ বেশি তারা রেগে গিয়ে অনেক কথা বলে দেয়, কিন্তু পরে তারাই বেশি কষ্ট পায়। পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ কি জানেন, সেটা হলো মানুষের মন চেনা। আজ তুমি যেখানে আছো সেটা তোমার অতীতের কর্মের ফল। কিন্তু কাল তুমি যেখানে পৌঁছাবে সেটা তোমার আজকের কর্মের ফল। রূপ নিয়ে তো সবাই নিজেকে সাজাতে পারে? চরিত্র নিয়ে নিজেকে সাজাতে পারে কজন? জীবনের চরম খারাপ মুহূর্তগুলোতে কেউ পাশে থাকুক আর না থাকুক, মা কিন্তু পাশে থাকবেই। রাগ কমাতে শিখুন, কারণ এই রাগ এর জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর সম্পর্ক গুলো শেষ হয়ে যায়। জীবনে পিছিয়ে পড়া বলতে কিছুই নেই, চেষ্টা করুন, আর মনে রাখবেন, টিকিটের জন্য লাইনে শেষ ব্যাক্তিটাও একসময় কাউন্টারের সামনে এসে পৌঁছায়। জীবনের সবকিছু অনিশ্চিত, আর শুধু মৃত্যুই নিশ্চিত। আমি সবার মন ভালো রাখার চেষ্টা করি, কিন্তু দিন শেষে সবাই এটা ভুলে যায় যে আমার নিজেরও একটা মন আছে। তাকে ফ...

পিরিয়ড নিয়ে একটি কষ্টের গল্প

Image
লেখক: মাহমুদ হাসান রানা ভিডিও দেখতে https://youtu.be/2SwRn1u10Hg পাশের বাসার আন্টির সাথে একসাথে বসে টিভি ' দেখছি আর টুকটাক কথা বলছি। এমন সময় মা এসে বললাে... এই শুভ, তাের বাবার প্রেসারের ঔষধ শেষ হয়ে গেছে। একটু ফার্মেসীতে যাতাে বাবা। ঔষধ ' গুলাে নিয়ে আয়।। আমি যখন ঔষধ আনতে যাবাে তখনি আমার ছােটবােন বললাে... ভাইয়া, ফার্মেসি থেকে আসার সময় আমার জন্য একটা সেনােরা প্যাড নিয়ে আসিস তাে। আমার বােনের কথা শুনে পাশের বাসার আন্টি আঁচলে মুখটা ঢেকে বললাে... ছিঃ ছিঃ এত বড় মেয়ে হয়েছে তবুও একটু লজ্জা শরম নাই। নিজের ভাইকে বলে এইসব পঁচা জিনিস আনতে! আমি আন্টিকে কিছু বলতে যাবাে তার আগেই আমার বােন আন্টির সামনে বসে হাসতে হাসতে বললাে... আচ্ছা আন্টি আপনার যখন সন্তান হয়েছিলাে সেই কথাটা আপনি আপনার ভাইকে বলতে লজ্জা পেয়েছিলেন? আমার সন্তান হয়েছে সেটা আমার ভাইকে বলতে লজ্জা পাবাে কেন? সন্তান হওয়া তাে আনন্দের ব্যাপার। আন্টি পিরিয়ড হওয়াটাও আনন্দের ব্যাপার। একজন মেয়েকে পরবর্তীতে সন্তান সম্ভাবনা হতে সাহায্য করে এই পিরিয়ড প...

পরকীয়া নিয়ে একটি কষ্টের গল্প

Image
লেখক: মাহমুদ হাসান রানা পরকীয়াটা কোনো অন্যায় নয়। অন্তত আমি তাই মনে করি৷ একটা মেয়েকে স্বপ্ন দেখিয়ে বিয়ে করে ঘরবন্দি করে ফেলার পরই অধিকাংশ ছেলের আসল চরিত্র প্রকাশ পায়৷ শুধু বিয়ে তো নয়, রিলেশনশিপে থাকাকালীনও সেই চরিত্র প্রকাশ পেয়ে থাকে, শুধু সম্পর্কের সময় বাড়ার অপেক্ষা। দিনের পর দিন তার কর্মব্যস্ততার অজুহাত এক ছাদের নিচে বাস করলেও দুটা পৃথিবীকে সহজেই বিভক্ত করে ফেলে৷ সারাদিন ম্যাসেজের রিপ্লাই করাতাে দূর ম্যাসেজ সিন্ করারও সময় পাননা, কারণ ছেলেটি প্রধানমন্ত্রীর থেকেও ব্যস্ত৷ মেয়েটি মনের কথা গুলাে তখন কার সাথে শেয়ার করবে- সংসারের হাঁড়ি কড়াইয়ের সাথে? কর্মব্যস্ততা সবার, কাজ না করলে খাওয়া জুটবে না তাও জানি কিন্তু ইচ্ছে থাকলেই সময় বের করা যায়, শুধুইচ্ছেটা থাকা দরকার৷ ম্যাসেজের একটা রিপ্লাই দেওয়ার কাজটা অফিসের টয়লেটে গিয়েও হয়, রােজ ঘরে ফেরার সময় উপহার কিনে আনাটা মেয়েরা চায়না, রোজ সময় দেওয়া এবং সময়ে ঘরে ফেরাটাই প্রত্যেক মেয়ের কাছে উপহার। আর এসব অপ্রাপ্তি গুলােই পরকীয়ায় রূপান্তরিত হয় একসময়৷ তখন...

মৃত্যু নিয়ে শিক্ষামূলক গল্প

Image
লেখক: মাহমুদ হাসান রানা ♥♥♥একটি শিক্ষানীয় গল্প♥♥♥ এক চাষি জমিতে চাষ করছিল!! চাষ করার সময় জমিতে হঠাৎ সে তিনটি পাথর খুজে পেল। পাথরগুলো জমির পাশে রেখে জমির চাষ শেষ করল। বাড়ি যাবার সময় পাথরগুলো সাথে নিয়ে গেল। বাড়িতে গিয়ে পাথরগুলো টেবিলের ওপর রাখল। যখন সন্ধ্যা হলো। তখন চাষির স্ত্রী আলো জ্বালাতে গেল গিয়ে দেখল পাথরগুলো থেকে আলো বের হচ্ছে। ঘর পুরো আলোকিত হয়ে গেছে।  তারপর ৩/৪ দিন কেটে গেলো চাষির ঘরে আলো জ্বালাতে হয় না পাথরের আলোয় হয়ে যায়। তারপর একদিন পাশের ঘরের একজন মহিলা এলো চাষির ঘরে। এসে চাষির স্ত্রীকে বললো তোমার ঘর আলো ছাড়া আলোকিত কিভাবে। তখন চাষির স্ত্রী সবকিছু বললো ঐ মহিলাকে। মহিলার স্বামী ছিল ব্যবসায়ি। তাই মহিলা বললো এই পাথর আমার স্বামীকে দিয়ে দাও। আমার স্বামী তোমাদেরকে ৫/৬ লক্ষ টাকা দেবে। তখন চাষির স্ত্রী বললো আমার স্বামী বাড়ি এলে বলবো।  তারপর চাষি বাড়ি এলে চাষির স্ত্রী তাকে ৫/৬ লক্ষ টাকার কথা বললো। তখন চাষি বললো ব্যবসায়ি যখন সাধারন এই পাথরের বিনিময়ে ৫/৬ লক্ষ টাকা দিতে রাজি। তাহলে বাদশাহ তো আরো বেশি দিবে। চাষি পাথর নিয়ে বাদশার কাছে গেল। বাদশাহ পাথর দেখে ...

বরিশাইল্লা প্রেমিক প্রেমিকার গল্প

Image
লেখকঃ মাহমুদ হাসান রানা সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখতে https://youtu.be/j-wseBKyiB4 প্রেম ভর্তা বানাইয়া যদি তােরে না খাওয়াই, হ্যালে মুই মােল্লা বাড়ির মাইয়া না।। ওহ, মােল্লা বাড়ির মাইয়ারা তাইলে সব রােবট, হ্যাগাে মধ্যে কোনাে প্রেম পিরিতি, ভালােবাসা নাই বুঝি? এ ছ্যামরা এ কানের উফরে একটা নাপা এক্সট্রা মাইররা। ' দেলেই তােমার প্রেমের ভূত ছাইররা জাইবেআনে।। তিন দিন খালি চোহের সামনে জোঁনাকি পােকা আর শরিসা ফুল দেখপি, বদ কোম্মের জ্যানাে। এ তুইকি মাইয়া, না বিষাক্ত ডাইয়া, তাের কতা হােনলে মনে অইবে বর্ষা কালে টিনের চালে বৃষ্টির রিনিঝিনি মিষ্টি ছন্দ। কিন্তু হ্যার বদলে দেহি তােমার কতার অ্যাকশনে মাড়ি থরথর হইররা কাপে। মুর কতা লইয়া তাের এত মাতা ব্যথা ক্যা? মুর তাে অইবে, তুমি ফিউচার বউ আমার, মাতা ব্যাতা অইবে কার, মালেক দাদার? মনু, তুমি কিন্তু কথা বলতে বলতে লিমিট ক্রস কইররা বিপদ সীমায় পৌঁছাইয়া গ্যাছাে। এ্যাকশন শুরু হরলে কেসিং ঠিকই থাকপে, কিন্তু ভিতরের পার্টস পাউডারে পরিনত হইয়া যাইবে। ও খােদা, একি মাইয়া, না লেড...

অপ্রকাশিত ভালবাসা গল্প ও কাহিনী

Image
লেখক: মাহমুদ হাসান রানা দীর্ঘ ৬ বছর পর টুম্পার মেসেজ পেয়ে চমকে ওঠে শুভ্র। অবাক কান্ড, শুভ্রর এই নাম্বারটা তো ফ্যামিলির সবাই ছাড়া আর কেউ জানেনা! বাট টুম্পা পেল কিভাবে নাম্বারটা! মনে মনে ভাবে ও! "শুভ্র, কেমন আছো? জানি অনেক ভালো আছো।বাট আমি ভালো নেই।কি করে থাকি বলো? তুমি ছাড়া কি ভালো থাকা যায়! জানি তোমার মনে একটায় প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে যে কি করে তোমার নাম্বারটা পেলাম! তোমার বোন শুভ্রার কাছ থেকে বহু কষ্ট করে নিয়েছি।দিতেই চাইছিল না! অনেকটা হাতে পায়ে ধরেই নিয়েছি। জানো তোমার সাথে ফোনে কথা বলাটা খুব জরুরি! জানো আমি এল.এল.বি কমপ্লিট করেছি! এই ৬ বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে আমার জীবনে। আমি আর অপেক্ষা করতে পারবোনা।প্লিজ রাত ১১ টায় ফোন দিবো।রিসিভ করিও! নাও বাই!!!!!! (টুম্পা) " মেসেজটা পড়ে কান্না থামাতে পারলোনা শুভ্র! সবকিছু ওর কাছে স্বপ্নের মত লাগছে।ও ভাবতে পারছেনা টুম্পা ওকে মেসেজ দিয়েছে, কথা বলতে চাইছে! যে মেয়েটার জন্য সে তার সবকিছু জলাঞ্জলি দিয়েছে সে মেয়েটাই আজ আবার ফিরে এসেছে। এইতো ৬ বছর আগের কথা।এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী ছিল শুভ্র।আর টুম্পা ছিল ইন্টার...

ব্রেকআপ হওয়ার এক বছর পরের গল্প

Image
ব্রেকআপের কষ্টের গল্প লেখক: মাহমুদ হাসান রানা ব্রেকআপের এক বছর পর ছেলে মেয়েটিকে ফোন করল ছেলেটির ফোন দেখে মেয়েটি খুব অবাক হল কেননা এক বছরের মধ্যে ছেলেটি কোন দিন মেয়েটিকে ফোন দেইনি বরং মেয়েটি ফোন করলে তাকে যা নয় তা বলে অপমান করত যাই হোক মেয়েটি শেষ পর্যন্ত ফোনটা রিসিভ করল............ . ছেলেঃ হ্যালো . মেয়েঃ হা বল কি বলবা কেন ফোন করেছ . ছেলেঃ তুমি কেমন আছো জানার জন্য . মেয়েঃ কেন আমি কেমন আছি তা জেনে তুমি কি করবে . ছেলেঃ বলনা খুব জানতে ইচ্ছা করছে , মেয়েঃ কেমন আছি বলতে পারব না তবে এইটুকু বলতে পারি তোমার জন্য এখন আর চোখের জল ঝরে না, মাঝরাতে তোমার কথা ভেবে এখন আর ঘুম ভাঙ্গে না, তোমার জন্য বুকের ভিতর সেই চিনচিনে ব্যাথাটা এখন আর অনুভব করিনা, তোমাকে ছাড়া একা একা পথ চলতে এখন আর ভয় লাগে না আর এর নাম যদি হয় ভালো থাকা তবে ভালো আছি তোমাকে ছাড়াই আমি ভাল আছি। . ছেলেঃ ও তাই ঠিক আছে ভালো থেকো। এই কথা বলে ছেলেটি লাইনটা কেটে দিল। . ছেলেটি লাইন কাটার সাথে সাথে মেয়েটির দুচোখ বেঁয়ে জল ঝরতে লাগল যা প...

তাহাজ্বতের নামাজ পড়লো ভালোবাসার কারণে

Image
ভালোবাসার তাহাজ্জত  নামাজ -- প্রতি দিনের ন্যায় আজও মেয়েটি ঘুম থেকে ছেলেটির আগে উঠে তাহজ্জত নামাজ পড়ে । অতঃপর শেষ প্রহরে মেয়েটি ছেলেটিকে ঘুম থেকে উঠাতে চেষ্টা করে । . --এই বাবু উঠো । উঠো না । দেখো না সেহেরীর শেষ সময় চলে এসেছে তুমি সেহেরী খাবে উঠো । . --মেয়েটির আদুরে ডাক উপেক্ষা করিতে না পেরে ছেলেটি উঠে পড়ে । মেয়েটির প্রতিটি কথা যেন মায়া মাখা । ডাকিলেই যেন বুকের ভিতরে একটা সিহরণ জাগিয়ে তোলে । . --ছেলেটি ফ্রেশ হয়ে আসিলে মেয়েটি হাত বাড়িয়ে তোয়ালেটা দেয় । সেহেরী খাওয়ার শেষ করে মেয়েটি ছেলেটিকে কোরআন হাদিসের গল্প শুনায় । ধর্মের কথা হওয়ায় একান্ত বাধ্য হয়ে ছেলেটিও তার বাবুর্নির কথা শুনে । মাঝে মাঝে ছেলেটি নামাজের একটু আলসেমি করে । কিন্তু মেয়েটির মায়া মাখা কথার ঝলকানিতে ছেলেটি চলে যায় নামাজে । . --নামাজ শেষ করে ফিরে এসে দেখে বাবুর্নি পাটিতে বসে কোরআন তেলোয়াত করছে । ছেলেটিক আসিতে দেখে মেয়েটি উঠে ছেলেটির কাজ থেকে জায় নামাজের পাটিটা এগিয়ে নেয় । ......... --এই বাবু চলো না একটু হাঁটি । ছেলেটি মনে মনে একটু রাগ করে । ইশ কোথায় সকালে একটু রোম...

অদ্ভুত ভালোবাসার গল্প

Image
"অদ্ভুত ভালোবাসা....." লিখা: মাহমুদ হাসান রানা ডায়রী আর কলম হাতে মাত্রই বসেছি নতুন এক্টা গল্প লিখবো বলে... কিন্তু ঠিক তখনি আম্মুর ডাক আসলো। ডায়রী-কলম রেখে আম্মুর কাছে গেলাম ডাকার কারণ'টা জানতে... আম্মুর কাছে যাওয়া মাত্রই আম্মুর অর্ডার আসলো এক্ষুনি স্টেশন যেতে হবে খালামনি'কে আনতে... . কি আর করার... "মাতৃ আজ্ঞা শিরোধার্য" বলে কথা। তাই চটপট পাঞ্জাবি আর আমার মোটা ফ্রেমের চশমা পড়ে বেরিয়ে পড়লাম, গন্তব্য: রেইল-স্টেশন... . ১৫মিনিটে স্টেশনে গিয়ে পৌছালাম। গিয়েই দেখি ট্রেন স্টেশনে ঢুকছে... তাড়াতাড়ি করে প্লাটফর্মে গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন মনে পড়লো, খালামনি কোন বগী'তে আছে তা না জেনে ক্যাম্নে খালামনি'কে খুঁজে বের করবো?? . এতোগুলা বগী থেকে এক্টা এক্টা করে খুঁজে বের করাও সম্ভব হবে না। নিজেকে গাঁধা, উল্লুক, ঢেঁড়শ বলতে বলতে পকেট থেকে ফোন'টা বের করলাম। . খালামনি'কে ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম কোন বগী'তে আছে? খালামনি বল্লো, "খ" বগী কিন্তু নেটওয়ার্কের প্রব্লেম আর লোক...